পান্তুদা – টা
লড়তে জানে – চরতে জানে –
রাগ হলে তার –
কাউকে ধরে মারতে জানে –
কানটি টেনে মুলতে জানে।
.
.
.
.
.
.
.
.
হায় রে –
.
.
.
এভাবেও সে ভাবতে জানে।
(অমিতাভ বাগ)
(এই নামটি নিছক কৌতুকরস সৃষ্টির জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। কাউকে আঘাত করা আমার উদ্দেশ্য নয়। তথাপি কেউ আঘাত প্রাপ্ত হলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। চরিত্রটিও নিছক কাল্পনিক। দয়া করে, এর সাথে বাস্তবে কাউকে মেলাতে যাবেন না। )
বিশেষ দ্রষ্টব্য :
এই বিষয়ে উল্লেখ্য, এই কবিতাটির প্রথম পর্ব টি অবশ্যই পড়বেন নিচের লিংক টি থেকে।
পান্তুদা
তুমি এসো বা যাও ফিরে
তোমার ইচ্ছে লাগার ভিড়ে ।
যদিও নেই
আমার ভেতর ঘরের বাসা সুখ দুঃখ কষ্ট মুখের ভাষা ।
আছড়ে মুচড়ে পড়ার ব্যথা সম্পর্কেরকাঁচ ভাঙ্গা অযথা ।
আলো আঁধারের বাড়াবাড়ি ধনদৌলতের কাড়াকাড়ি ।
ধারদেনার কোর্ট কাছারি
হাট বাজারের ফর্দ হিসেব নিকেশ করার জারি ।
অনুষ্ঠানের বাড়তি আবর্জনা অহেতুক নেশার সরাই খানা ।
আরাম করার বাগান বাড়ি ভাগাভাগির জঞ্জাল ভারি ।
খুনসুটির ঝগড়া ঝাঁটির বালা ।
সিংহদুয়ার
সতর্কতার
চাবি তালা ।
এখানে শুধু রোজকার মতো ……
খোলা হাওয়ায় স্বাভাবিক আসে যায়
ধারাবাহিক টাটকা ফুলের উজার গায়
সন্ধ্যা ভোর মাটির গন্ধ আকাশ জোড়া
ভালোবাসার বসত ঘর হৃদয় মোড়া ।
আমাদের ও পাড়ার পান্তুদা, কে জানো ?
শলাকার কলেবর – হাতে গোঁফ প্যাঁচানো।
আষাঢ়ের মেঘে মেঘে তারা গোনা চাই তার,
বৃষ্টিতে হেঁচে কেশে – ঝালে ঝোলে কদাকার।
এ হেনো পান্তুদা – বসে যদি কাজেতে –
একমনে ঘেঁটে যায় টেকো চুল টিকিতে।
যোগ ভাগ গুন্ গুলো ধোঁয়া ওঠে দেখো ওই –
রাগে চোখ টন টন – পুড়ে খাক যত বই।
দাঁতগুলো তাগড়াই – হয়তোবা রাগেতে –
এঁকে বেঁকে চলে যায় – দু ঠোঁটের মাঝেতে।
কষ থেকে মাঝে মাঝে বয়ে যায় খুশবু –
বেনারসি পান চাই – নোলা হয় বেকাবু।
এ হেনো পান্তুদা – চাপে যদি বাসেতে –
গম্ভীর হয়ে যায় – দমফাটা হাসিতে।
গায়ে পড়ে কাতুকুতু খেয়েদেয়ে একাকার –
নেমেপড়ে হেঁটে যায় – হোক না সে রবিবার।
(অমিতাভ বাগ)
(এই নামটি নিছক কৌতুকরস সৃষ্টির জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। কাউকে আঘাত করা আমার উদ্দেশ্য নয়। তথাপি কেউ আঘাত প্রাপ্ত হলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। চরিত্রটিও নিছক কাল্পনিক। দয়া করে, এর সাথে বাস্তবে কাউকে মেলাতে যাবেন না। )
ভৌগলিক দূরত্ব যোজন যোজন বেড়ে গেলো তোমার-আমার, কারন-অকারন যুক্তি সংগত!
দূরত্ব বাড়ানোের- এই সম্প্রসারণশীল প্রেমের মহাবিশ্ব তোমার-আমার, সংকোচনশীল হবে না কখনো- জানি আমি!
তাই ভেবেছি, তাই করেছি-
উড়ে উড়ে আকাশ ঘুরে ঘুরে মেঘের ভেলায় বাতাসের ঘূর্ণি খেলায় বিরহ জল পাঠিয়ে দেবো,
স্পর্শ উষ্ণতার অভাবে তারপর বৃষ্টির ফোটা ফোটা পৃষ্ঠটানে বন্দি করে অনুভুতিগুলো আমার-
বিন্দু বিন্দু নেমে আসবে তোমার দিকে,
তুমি তখন চঞ্চলা ময়ুরী হয়ে সবুজ মাঠে নেমে- চুল ভেজাবে, ঠোট ভেজাবে, ভেজাবে শরীর!
অজান্তে তোমার- আমিই সেই! সেই হারানো দিনগুলির দীর্ঘশ্বাস বাষ্প-মেঘ-জল!
সময় ঘন্টা খানেক । তারপর অন্দরমহলে ফিরে যাবে- তোমার “বর্তমান” হয়তো তখনও ফিরবে না ঘরে-
হয়তো কর্পোরেট জীবনে ব্যস্ত ভীষণ!
একলা, একলা চুল মুছবে, দেহ মুছবে, পরে সাজবে-
সাজবে কপাল, চোখ, ঠোঁট- রাঙা রাঙা পিরানে ঢেকে যাবে অতীত!
আমি বৃষ্টি হবো, তুমি ভিজবে অজান্তে ।
এ এক প্রেমিকের বিরহ বৃষ্টি বিলাস- থেকে থেকে দূর দূরান্তে!
কবি বন্ধুরা …
তোমার পছন্দ মতো সমবেত শব্দ যত
প্রতীতি আঙুলে কুড়িয়ে তোমার লুকানো
অভিধান থেকে,
লেখো …
সন্ধ্যা ভোর রাত্রির প্রতিহত হৃদয় জোড়া হৃদয় ভাঙা;
আকাশ পাখি মেঘ বৃষ্টির,
ছায়ার মোহক রোদ দৃষ্টির,
তোমার মত করে বিষাদ ভুলে
এক ঘর থেকে আর এক ঘরের সব দ্বার খুলে ।
লেখো:
রঙ রয়েছে পড়ে অনুভবের আবেগের সুখ ধরে
যদিও নজর কাঁচা সরস তৃষ্ণার গন্ধে বুক ভরে ।
লেখো:
কে খারাপের আড়ালে নষ্ট ছায়ে
সারাদিন ?
কে হাঁটে ভালোর খাপে অসুখ পায়ে
সারাদিন ?
লেখো:
সব দুঃখ কষ্টর কথা
বুক ফাটা জলভরা পাটাতন দীর্ঘ ভারে
দুচোখের নীরব প্রতিবাদ নদী থেকে সাগরে ।
লেখো:
ব্যথার অন্তসারে নিঃশ্বাসের ভেতর সততার আঁচ
বাতাসের হোমে ভরসার আগুন ছাই মাখা মনিময় কাচ ।
লেখো:
দুঃখ কষ্টর মধ্যে সংঘর্ষ আর সপ্নের বসুন্ধারা
দুহাত ভর্তি ক্ষুধার খুদা ধানে চালে ভাতে কুশলপারা ।
লেখো:
এরাই অন্ধকার;
এরাই অন্ধকারের শ্রেয়সী চাঁদ
এরাই জোয়ার ভাটার রূপোসি ফাঁদ ।
যে ব্যথা নিঃশ্বাসের নিশব্দতায়
এরাই চাঁদলগ্ন ধারাময় বসুধায় ।
Recent Comments