এক পরিচয় যত্নে আমি আগলে রাখি –
এক পরিচয় – সময়ে – গোচরে বিলিয়ে থাকি |
পরিচয় তবু নানা রঙে ঝিলিক দিয়ে
রাত বিরেতে অন্য রঙে যায় হারিয়ে ।।
চিনলে বলে দিলাম তোমায় – আমার পরিচয়
মিষ্টি করে দুষ্টু কথা – বলিবার নয় ।।
তবু যখন একলা থাকি
নিশীথ পানে তাকিয়ে থাকি
বুক ভরা এক হুতাশ ফেলে
তাকিয়ে দেখি দুচোখ মেলে
– যতদূরেই ঠাই
একলা আমি একলা আমি –
কেউ কোথা বা নাই ।।
তারস্বরে জিগাই তারে –
আকাশ আমার – আকাশ আমার –
পার করে দাও ভাই –
দেবার মতো হয়ত আমার আর কিছু বা নাই –
দিলাম তোমায় আমার যত জমানো পরিচয়
পারাপারের পারানি বাবদ হয়ত বা কিছু হয় ।।
অনেক বাদে মৃদু হাসি কহিলেন তিনি
সত্য তবে কোনটা তুমি
কেমনে তোমায় চিনি ??
দাও তবে নিজ কাছে সত্য পরিচয় –
যা দিয়ে সত্য করে পারানিটুকু হয় ।।
মিথ্যা যদি সত্য কর –
এই বেলাটুক সবুর কর –
গড়িয়ে বিকেল সন্ধ্যা হলে
সূর্য্যি মামা অস্ত গেলে
হাঁক দিয়া কয় মাঝি আমায় –
এবার তবে যাই –
ভুল করে ভাই মিথ্যা দিলে
….. আর পারানি নাই ।
শ্রাবণ – মুখ তুলে আকাশ কে বলল –
আমাদের যদি মেয়ে হয় তার নাম রাখব বৃষ্টি …..
আর যদি ছেলে হয় –
শ্রাবণ একটু ভেবে বলল ………….
…..বাদল ।।
শ্রাবণ কানে কানে আকাশকে বলল
আজ যদি মেঘ জমে, তার নাম রাখব মিতু ।।
…….আর যদি ঝড় ওঠে …..
….তার নাম রাখব হৃদয় ।।
সেবার শ্রাবণ যাবার আগে আকাশের বুকে
মুখ গুঁজে অনেক কেঁদেছিল ।।
যাবার আগে বলে গেল –
মেয়ে বড় হলে তাকে আর বৃষ্টি বলে ডেকো না ।।
ওকে ডেকো ক্যামেলিয়া ব
If Bengali Not Come – Camelia
or
Camelia
[আমরা সবাই রাজা আমাদের এই রাজার রাজত্বে –
নইলে মোদের রাজার সনে মিলব কী স্বত্বে?। ]
না হয় আমি রাজাই হলাম
বিধান দিয়ে – নিদেন লিখে
আমার রানী গড়িয়ে নিলাম –
না হয় আমি রাজাই হলাম ৷৷
রানী হল – মন্ত্রী এলো হল রাজ্যপাট
রাজকোষ মোর শূন্য ভাঁড়ার
– ভাবাই হল ষাট ৷
সত্যি যদি রাজাই হবে
রাজকোষ কেন শূন্য রবে ?!
যেমন তেমন বিধান লিখে
হয় কি রাজ্যপাট ?!
এবার তবে –
চাবুক চালাও আগুন জ্বালো –
রাজকোষ মোর ভরিয়ে তোল' –
এসো সেপাই – সান্ত্রী এসো –
এসো সৈন্যদল –
দৈন্য দশা দূর কর মোর
হোক রদবদল ৷৷
রক্ত ?
তা সে পরওয়া করি না –
দমন দিয়ে – হয় যদি হোক
ভার অতিরিক্ত ।
তবু কেন এলোকেশে –
রানী আমার বিরস মুখে
ভাবনা যেন দিনে দিনে
পাংশু চোখে উঠছে জমে – ।
সেদিন যখন একলা রাতে –
ভেবে মরি খোলা ছাদে
হঠাৎ মনে পড়ল আমার
হারিয়ে যাওয়া ধুলো মাখা
আমায় দেওয়া ছোট্ট খাতা ।।
পরিপাটি যত্নে আঁকা –
অনেক কলি – হেলায় লেখা ।
আমার রানী –
তোমায় দিলাম রাজকোষ আর
অনেক বাণী ।
এবার তবে বিদায় দেহ –
রাজকোষ আর রাজ্য নিয়ে –
আমার রানী সুখে থেকো ।।
To listen please Click Me
আজও ……………
সেই কয়েক সহস্র যুগের বিবর্ণ পথ’ছবি
আবালবৃদ্ধবনিতার ভিড়ে
এলোমেলো তুলির টানে
নিষ্ঠুর চাহিদার মতো নির্মম মায়াবী ৷৷
অনেক যুগের পরে আজ ভোর জেগেছে অনেক পরে
কুয়াশায় ভেসে আসা স্বপ্নের ঘোরে
তবু তো ভোর জেগেছে অনেক পরে !!
মেঠোপথে কত এলোমেলো ঢেউ টানা
কত এলোমেলো গন্তব্য
ঝড়ো হাওয়ায়
সহস্রগুন বাঁধনের নিষ্ঠুর বন্ধন
তবু হারিয়ে যাওয়ার অজস্র ঠিকানা ৷৷
এই শেষ চলা –
কখনও আর ফিরব না ৷
তবু দুহাতে দুমুঠো ফুল ছাড়ায়ে দিলাম ৷
যদি …..
অসতর্ক মুহুর্তে কোনো
চেয়ে দেখো …..
আমার
হারিয়ে যাওয়ার ঠিকানা ৷৷
In PDF View
Or
Hariye jaoar thikana
অবশেষে আহ্লাদী পাতা সবটুকু বিবর্ণ নিয়ে উপমা হীন ,তরল রেটিনার
গর্ভস্থ গ্লেসিয়ার যদি আবেগী হত, কিছু ঘনত্ব হারাত নির্মম ।
‘পাথর তুমি আতর দিলে না, সে এতই অযথার্থ! তার
নাভিমূল ছিঁড়ে নির্ভুল শিহরন, নৈশব্দ দিলদার ’।
অক্ষাংশ বেয়ে এক মুখশ্রীর আবর্তন নিমগ্ন হলে জলজ নোটবুকে
বিজয়িনীর চন্দন সুবাস পৃষ্ঠা-পার, মূর্ছনা ভেঙ্গে ভেঙ্গে প্রেম প্রতীকী ময় ।
‘কম্পিত ধমনি আরও বেশি দাহ্য হিমে, অতল
এমনি উন্মাদনায় হাজার বছর টলমল’ ।
ঠিক গ্রীষ্মের চাতকের মত, মেঘের মন না বুঝেই অঙ্কুরিত স্বপ্ন এ-ডাল ও-ডাল শেষে
পুনশ্চ: আগামী এঁকেছে নকল নকসা ,অন্ধত্বের ভয়ানক প্রাজ্ঞতায় ।
Recent Comments