বাঁচবি জলে মরবি ধরে মাটি ।
মরবি জলে বাঁচবি ধরে মাটি ।
এই জলের ক্রমে এই ধরার ক্রমে ।
তাই বলে থাকবি জলে আসবি না স্থলে
থাকবি স্থলে নামবি না জলে ।
ওরে পোড়ামুখো ! যাবি কোন মুখো !
একদিন না একদিন ভয় উতরে নামতে হবে জলে
কখন কে জানে কোন যে ঋতুর খুঁটির অবতলে
এক নিমেষে অন্ধ বধির নগ্নশরীর শুতে যায় বলে ।
মাটির টুকরো নিয়ে আজ দলাদলি মারামারি ।
জলের দাগ নিয়ে কাল ভাগাভাগি কাড়াকাড়ি ।
অযথা দু প্রান্তের রক্ত মাংস মানুষধারী
যদিও কাল জল মাটির জীবন হাজারদুয়ারি।
ওরে পোড়ামুখো ! যাবি কোন মুখো !
একদিন তো যেতে হবে এই মাটিতে এই জলে
সব জমা খরচ ফেলে শব শরীর মাটির ঢেলায় দলে
শেষ যাত্রা চিতায় জ্বলে অজর জলের স্রোতের কবলে ।
তুমি এসো বা যাও ফিরে
তোমার ইচ্ছে লাগার ভিড়ে ।
যদিও নেই
আমার ভেতর ঘরের বাসা সুখ দুঃখ কষ্ট মুখের ভাষা ।
আছড়ে মুচড়ে পড়ার ব্যথা সম্পর্কেরকাঁচ ভাঙ্গা অযথা ।
আলো আঁধারের বাড়াবাড়ি ধনদৌলতের কাড়াকাড়ি ।
ধারদেনার কোর্ট কাছারি
হাট বাজারের ফর্দ হিসেব নিকেশ করার জারি ।
অনুষ্ঠানের বাড়তি আবর্জনা অহেতুক নেশার সরাই খানা ।
আরাম করার বাগান বাড়ি ভাগাভাগির জঞ্জাল ভারি ।
খুনসুটির ঝগড়া ঝাঁটির বালা ।
সিংহদুয়ার
সতর্কতার
চাবি তালা ।
এখানে শুধু রোজকার মতো ……
খোলা হাওয়ায় স্বাভাবিক আসে যায়
ধারাবাহিক টাটকা ফুলের উজার গায়
সন্ধ্যা ভোর মাটির গন্ধ আকাশ জোড়া
ভালোবাসার বসত ঘর হৃদয় মোড়া ।
ভৌগলিক দূরত্ব যোজন যোজন বেড়ে গেলো তোমার-আমার, কারন-অকারন যুক্তি সংগত!
দূরত্ব বাড়ানোের- এই সম্প্রসারণশীল প্রেমের মহাবিশ্ব তোমার-আমার, সংকোচনশীল হবে না কখনো- জানি আমি!
তাই ভেবেছি, তাই করেছি-
উড়ে উড়ে আকাশ ঘুরে ঘুরে মেঘের ভেলায় বাতাসের ঘূর্ণি খেলায় বিরহ জল পাঠিয়ে দেবো,
স্পর্শ উষ্ণতার অভাবে তারপর বৃষ্টির ফোটা ফোটা পৃষ্ঠটানে বন্দি করে অনুভুতিগুলো আমার-
বিন্দু বিন্দু নেমে আসবে তোমার দিকে,
তুমি তখন চঞ্চলা ময়ুরী হয়ে সবুজ মাঠে নেমে- চুল ভেজাবে, ঠোট ভেজাবে, ভেজাবে শরীর!
অজান্তে তোমার- আমিই সেই! সেই হারানো দিনগুলির দীর্ঘশ্বাস বাষ্প-মেঘ-জল!
সময় ঘন্টা খানেক । তারপর অন্দরমহলে ফিরে যাবে- তোমার “বর্তমান” হয়তো তখনও ফিরবে না ঘরে-
হয়তো কর্পোরেট জীবনে ব্যস্ত ভীষণ!
একলা, একলা চুল মুছবে, দেহ মুছবে, পরে সাজবে-
সাজবে কপাল, চোখ, ঠোঁট- রাঙা রাঙা পিরানে ঢেকে যাবে অতীত!
আমি বৃষ্টি হবো, তুমি ভিজবে অজান্তে ।
এ এক প্রেমিকের বিরহ বৃষ্টি বিলাস- থেকে থেকে দূর দূরান্তে!
কবি বন্ধুরা …
তোমার পছন্দ মতো সমবেত শব্দ যত
প্রতীতি আঙুলে কুড়িয়ে তোমার লুকানো
অভিধান থেকে,
লেখো …
সন্ধ্যা ভোর রাত্রির প্রতিহত হৃদয় জোড়া হৃদয় ভাঙা;
আকাশ পাখি মেঘ বৃষ্টির,
ছায়ার মোহক রোদ দৃষ্টির,
তোমার মত করে বিষাদ ভুলে
এক ঘর থেকে আর এক ঘরের সব দ্বার খুলে ।
লেখো:
রঙ রয়েছে পড়ে অনুভবের আবেগের সুখ ধরে
যদিও নজর কাঁচা সরস তৃষ্ণার গন্ধে বুক ভরে ।
লেখো:
কে খারাপের আড়ালে নষ্ট ছায়ে
সারাদিন ?
কে হাঁটে ভালোর খাপে অসুখ পায়ে
সারাদিন ?
লেখো:
সব দুঃখ কষ্টর কথা
বুক ফাটা জলভরা পাটাতন দীর্ঘ ভারে
দুচোখের নীরব প্রতিবাদ নদী থেকে সাগরে ।
লেখো:
ব্যথার অন্তসারে নিঃশ্বাসের ভেতর সততার আঁচ
বাতাসের হোমে ভরসার আগুন ছাই মাখা মনিময় কাচ ।
লেখো:
দুঃখ কষ্টর মধ্যে সংঘর্ষ আর সপ্নের বসুন্ধারা
দুহাত ভর্তি ক্ষুধার খুদা ধানে চালে ভাতে কুশলপারা ।
লেখো:
এরাই অন্ধকার;
এরাই অন্ধকারের শ্রেয়সী চাঁদ
এরাই জোয়ার ভাটার রূপোসি ফাঁদ ।
যে ব্যথা নিঃশ্বাসের নিশব্দতায়
এরাই চাঁদলগ্ন ধারাময় বসুধায় ।
তবে, “জোছনা এবং বৃষ্টি” দুটোই চাই আমি-
যেহেতু আষাঢ়ে পূর্ণিমা রাত!
যদি প্রকৃতি দেয় সায়-
হয় সুসময়, আমার সুপ্রসন্ন বরাত!
চন্দ্রমুখীর সুখ দাও – বিরহ-ব্যাথায় তীরবিদ্ধ এক দেবদাস আমি!
কৃষ্ণকালো মেঘের ডানায় মনে মনে তোমার পাশে কতোদিন ঘুরি- জানে অন্তর্যামী!
আজ বাহুডোরের আড়ালে লুকাও- জোছনায় তো ডুবেছিলাম সন্ধ্যা থেকে আজ,
এখনই নাক লুকাবো তোমার বুকে- হোক রাতে শুরু বৃষ্টিতে ভেজার কারুকাজ ।
“জোছনা এবং বৃষ্টি” দুটোই হোক- ভালোবাসায় নেই ব্যবধান আকাশ-পাতাল ।
পেমকুঞ্জের লতায়-লতা জড়িয়ে ধরে কেটে যাক সময়, মুছে যাক বিরহের মহাকাল!
Recent Comments