প্রারব্ধ (সুদীপ্ত মাইতি)
সব ঋণ শোধ হয় না।
সচেতন গণিতের নির্ভূল পথনির্দেশ
পৌঁছে দেয় না দিগন্ত প্রসারী
সবুজ সে সম্পর্কের অসীমতায়।
মাটির স্তন্যে আজন্ম লালিত
গাছ, চিরঋণী থেকে মৃত্যুতে
মাটিতেই আশ্রয় ভিক্ষা করে।
মাটিও রাখে না ঋণের হিসাব,
অবিরাম, অনন্ত সুধা ক্ষরণেই
তার যে অপার আনন্দ !
যার ভালোবাসায় স্নিগ্ধ হয়ে
ঋণী ভাবছো নিজেরে,
সেও বুঝি ঋণী হয়েছে
অন্তরে, তোমায় সিক্ত করে।
তবু নিশিভোর সাধনা অন্তে
থাকে, উত্তরাধিকারের ঋণ –
শতাব্দী পেরিয়ে ভাষার কাছে;
আমৃত্যু শোধের পর,
প্রারব্ধের ভার তখন দিয়ে যেতে হয়
আগামী কবির হাতে।
কবির কলমে :-
(প্রারব্ধের ভার বাবা দিয়ে গিয়েছেন হঠাৎই। বাবা হয়তো জানতেন না, আমার কবিতা চর্চার গোপন কাহিনী। উৎসাহও কখনো দেননি। হয়তো পচ্ছন্দ করতেন না, বা আমার সীমিত ক্ষমতার কথা জানতেন। বাবা আজ সশরীরে থাকলেও হয়তো সংকোচে দেখাতে পারতাম না। এখন আর দ্বিধাটুকু নেই। মৃত্যু তার সীমানা মুছে দিয়েছে। " প্রারব্ধ" তাই তাঁর কাছেই ঋণী থাক। )
Recent Comments