বুকে যখন আমার সোনালী মেঘের আনাগোনা
ঠোঁটে যদি হয় কুয়াশা ঘন জাল বোনা –
আঙুলে শত বর্ষের নীল ছোপ বুনোট
চোখে চোখ – মৃদু সায় – ইশারায় –
ছেড়ে যায় স্মৃতিটুক – নীলাভ গুমোট –
হোগলার বন চিরে – সবুজ হলুদ – দিন –
পাতার ভিতর – তরল সোনার মতো
ভাসিয়ে দিও – নিকোটিন।
Note: We doesn’t encourage smoking or take any formation of “Tar”/“Nicotine”. Smoking causes cancer. Anyway the inner meaning of this poetry is different, where there is no direct relation with any type of smoking.
এপথ ধরে খানিক গেলে; সমুদ্রস্নান
সেখান থেকে মাইলখানেক; হন্ডাসিটি
ম্যাপ ধরে আর কয়েকশো পা; পাঁচতারা-সুখ
তাও ছাড়িয়ে অল্প দূরে; বিদেশবিভুঁই
কিছু হাতের ফারাক আরও; পেট্রোডলার
তার পরে স্রেফ দু-এক কি.মি.; আকাশকোঠা
আর তো কেবল কয়েকটা ধাপ; গ্লোবাল ভিলেজ
সব পেরোলাম: আর কতদূর ..
তোর বাড়িটা??
সময়ে কেমন পুরোনো হয়েছে কথা —
ধুলো জমা পরে , ক্রমে ক্ষয়ে গেছে মুখ !
তবু পেরিয়ে এসেও শত-শত সভ্যতা ..
শিকড়ের কাছে হেরে যেতে কত সুখ !
সেখানে স্রোতেরা থমকে গিয়েছে কবে..!
নতুন আবির মেখে উড়ে গেছে হাওয়া ..
তবু আলগোছে জমা.. বাতিলের উৎসবে ;
একা মন , তার নিয়মিত আসা যাওয়া !
কী আছে সেখানে ..মোহর না পোড়ামাটি ?
শেষ রোদ্দূরে জ্বলা বিকেলের ছাই —
পথের গভীরে দেখো বেশ পরিপাটি
তুমি , আমি , আজও হাতে হাত…হেঁটে যাই !!
ফুলকুমারী ফুলকুমারী
তোর সাথে আর নয়কো আড়ি।
জানিস না তুই –
রাগটি আমার শরীর জুড়ে
মান অভিমান আকাশ ফুঁড়ে।
খেলনাগুলো নিজের মনে
হারায় কেন অন্ধ কোনে ?।
স্নানের সময় জল নিয়ে তাই
ঘণ্টা খানেক খেলতে যে চাই
বারণ করলে যুদ্ধ বাধে –
গুণ্ডা কি আর এমনি সাজে ?
গোপাল বলিস, সোনা বলিস, লক্ষ্মী বলিস রাই –
মন যে আমার ভিজবে না রে – যখন যেটা চাই –
তখন যদি বারণ করিস, কাট্টি তবে –
ভাবছিস কি ? ভাবটি আবার এমনি হবে ?
গাড়ি চাই – বেলুন চাই – চাই যে কত কিছু
ঘুড়িও চাই । অনেক লিস্টি আছে পিছু পিছু।।
তবেই বলি দুষ্ট আমি – মিষ্টি নই যে –
ভুলবো আমি অল্পে-তে ?!
যতই ভোলাস্ – আকাশ কুসুম গল্পে-তে।।
সেদিন ভয় কে দেখলাম খুব কাছ থেকে!
এতটাই কাছে চলে গেছিলাম যে,
হাত দিয়া ধরে ফেললাম, আর সেই
যে মুঠোয় ধরেছি, যেতে দিই নি আর।
ঘরে এসে সেলোটেপ দিয়ে দেওয়ালে
আটকাবার চেষ্টা করলাম, কিন্তু লাগলো না!
ছিটকে বেরিয়ে আসলো, বহু কষ্টে
শেষমেশ একটা কাঁচের গ্লাসে ঢুকিয়ে,
বাটি চাপা দিলাম। অবাক হয়ে দেখছিলাম,
ছোট্ট একটা বস্তু, চটচটে লাল রঙের।
অনেকটা হৃৎপিণ্ডের এর মতন, কেমন যেন
হাত পা ছুঁড়ে ছটফট করছে, আর্তনাদ করছে!
আমার খারাপ লাগলো, তাই ঢাকনা খুলে দিলাম।
চোখের সামনে, ভয় একনিমেষে আকাশে মিলিয়ে গেলো!
ভয় ও বোধহয় বদ্ধ জায়গায় ভীষণ ভয় পায়!
Recent Comments