সবাই যুদ্ধে,
শীতলপাটি দাওয়ায় কেউ ফিরলো না।
প্রতিদিন সন্ধ্যায়
স্বৈরাচারী ইচ্ছেগুলো বিলবোর্ডে
লাস্যময়ীর চোখের গভীরে।
চাঁদের চাঁদোয়ায়
ফুটপাথের দীর্ঘ করিডোরে
অনেক ক্লান্ত ঈশ্বর…….।
দিনের আলো যাদের উপর
অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা চালায়।
সুপারী গাছের মতো
দীর্ঘ কিন্তু অতি নমনীয় হয়ে
নৈঋতের হাওয়ায় দুলছি।
সাদাকালো ছাড়া অন্য কোন রঙে
এ শহরের মাষ্টারপিস আঁকা যায় না।
চারদিকে আলোর অন্ধকার,
চোখ বুজলেই দেখাযায় কলকাতার ক্লিভেজ।
ধূসর পৃথিবীর এক প্রান্তে বসে আছি একাকী
কতজন যায় আসে আশা নিরাশায়
উদাস বিকালের হওয়ায় ।
আমার গন্তব্যের গাড়ি অতি বিলম্ব
আমার জন্মলগ্নের মতো।
চাঁদের পুর্ণ অবয়বে জাতকের জন্ম শুভ
যশ খ্যাতি দুয়ারের চৌকাঠে,
নক্ষত্রের আপন আলোয় দীর্ঘপথ চলা-
তাই অতিরিক্ত কিছুকাল অপেক্ষা মাতৃগর্ভে
বিড়ম্বনায়।
ভূমিষ্ঠকালে কান্নাটা জমা ছিল বিধাতার কাছে –
হয়তো ভবিষ্যতের জন্য।
বিলম্বিত গাড়িটা অহর্নিশ চলতে থাকে
ব্যাথা বেদনা কিংবা হতাশার স্টেশনগুলি ছুঁয়ে ছুঁয়ে!
আমার স্বপ্ন-আশা হারিয়ে যায় চিলের ডানায়
এক প্রগাড় অন্ধকারে।
আমার বালখিল্য ইচ্ছাগুলো
মিহি সুতোর কার্পেটে হামাগুড়ি দেয়।
একদিন এক ঊর্বশী ভালবাসর বন্ধ্যা জমিতে
প্রেমের বীজ লাগিয়ে –
এক আলোকবর্ষ দুরে ।
বিফল পরাগরেণুগুলো বাতাসে মেশে অকারন-
অবশেষে নিঃসঙ্গ রাত্রিযাপন।
ব্যর্থ নক্ষত্রের আপন আলো নিঃশেষিত
অন্ধকারের আলোর গভীরে-
তারপর সেই ভুমিষ্ঠকালের গচ্ছিত নিঃশব্দ কান্নাটা
ভাসিয়ে নিয়ে যায়
প্রবাহহীন হৃদয়কে গভীর সমুদ্রের দিকে;
যেখানে অসীম আকাশকে
বড় আপন বলে মনে হয়।
দরজা খোলা, তুমি আসতে পারো-
তুমি আসতে পারো উজানে
তোমার স্যাঁতস্যাঁতে অনুভুতিকে
অভিমানের কাছে বন্ধক রেখে।
তুমি আসতে পারো-
তোমার সমস্ত দ্বিধা সংকোচকে
নীল দিঘীর জলে ভাসিয়ে-
ভারহীন পদক্ষেপে।
তোমার নীরব শীতলতায়
এখনও আমার ইচ্ছাগুলো জমে বরফ হয়নি…
এখনও আমার অগোছালো স্বপ্নগুলো
অনিদ্রা চোখের তারায়-
তোমার অপেক্ষায়।
তুমি আসো নি বলে
ভরা বসন্তের পলাশ গুলি ঝড়ে যেতে চায়;
ক্যানভাসের অর্ধেকটা –
এখনও ফাঁকা পড়ে আছে।
দরজা খোলা, তুমি আসতে পারো-
যদি তুমি আসো কোন এক জ্যোৎস্নারাতে,
কথা দিতে পারি…
তোমার মনের বাগীচায়-
একটা গোলাপ চারা লাগাবো;
যদি একটাও গোলাপ ফোটে-
তার অধিকার শুধু তোমার আর আমার ।
আমারে রেখেছি গোপন
দেখা হীন অদেখায়, কথাহীন না বলায় ।
আমি রয়েছি তোমার কাছাকাছি
তবুও যে আমি অনেক দূর দুরান্তে ।
পথহীন পথের দিশায় ,
ঠিকানাহীন আপনের সন্ধানে ।
এই ছুটে চলা যেন আমার প্রতিদিনের,
আমারে আমি করেছি অচেনা, আমার হতে ।
সন্ধ্যার আকাশে মেঘ হয়ে ভাসতে ভাসতে
আমি চলে যাব অনেক দূরে ।
মধ্য রাতের কোন এক সময়ে বর্ষা হয়ে পড়ব’
আমার সকল চেনা অচেনা সিমান্তে ।
যে টুকু অবশিষ্ট থাকবো
শেষ রাতে শিশির হয়ে অঝরে ঝরবো
তোমার আঙিনায় সবটুকু জুড়ে ।
আমি আরও – অনেক গভীর ঘুম চাই –
যে ঘুম তোমার তরল বাসনার থেকেও মদির –
তোমার অসূর্যস্পর্শা অধরের থেকেও গাঢ।
তোমার ললাটের থেকেও দীঘল –
তোমার বায়বীয় আত্মার থেকেও নশ্বর –
ঘুম চাই ।
তোমার নাটকীয় চাহনির থেকেও পরকীয়া –
এমন এক ঘুম চাই ।
Recent Comments