এক পরিচয় যত্নে আমি আগলে রাখি –
এক পরিচয় – সময়ে – গোচরে বিলিয়ে থাকি |
পরিচয় তবু নানা রঙে ঝিলিক দিয়ে
রাত বিরেতে অন্য রঙে যায় হারিয়ে ।।
চিনলে বলে দিলাম তোমায় – আমার পরিচয়
মিষ্টি করে দুষ্টু কথা – বলিবার নয় ।।
তবু যখন একলা থাকি
নিশীথ পানে তাকিয়ে থাকি
বুক ভরা এক হুতাশ ফেলে
তাকিয়ে দেখি দুচোখ মেলে
– যতদূরেই ঠাই
একলা আমি একলা আমি –
কেউ কোথা বা নাই ।।
তারস্বরে জিগাই তারে –
আকাশ আমার – আকাশ আমার –
পার করে দাও ভাই –
দেবার মতো হয়ত আমার আর কিছু বা নাই –
দিলাম তোমায় আমার যত জমানো পরিচয়
পারাপারের পারানি বাবদ হয়ত বা কিছু হয় ।।
অনেক বাদে মৃদু হাসি কহিলেন তিনি
সত্য তবে কোনটা তুমি
কেমনে তোমায় চিনি ??
দাও তবে নিজ কাছে সত্য পরিচয় –
যা দিয়ে সত্য করে পারানিটুকু হয় ।।
মিথ্যা যদি সত্য কর –
এই বেলাটুক সবুর কর –
গড়িয়ে বিকেল সন্ধ্যা হলে
সূর্য্যি মামা অস্ত গেলে
হাঁক দিয়া কয় মাঝি আমায় –
এবার তবে যাই –
ভুল করে ভাই মিথ্যা দিলে
….. আর পারানি নাই ।
বুক থেকে ঝরে পড়া কবিতার মাঝে ,
তোমায় দেখেছি আমি শাওন রাতে।
কবি বলে কবিতা সেতো তুমি নও;
আমি বলি সুন্দর অতি সন্দর তুমি হও।
হিয়ার মাঝেতে মোর কত, কত ফুল ফোটে;
তার মাঝে মন মর শুধু তোমায়, তোমাকেই যাচে।
জানিনা কেন তা জানি না,
আমি, তোমার কাছেতে যেতে পারি না।
দূর থেকে দেখি আমি যাতে টুটে পড়ে।
কবি বলে ভিতু তুই, কাছে যেতে পাস ভয়;
আমি বলি ভিতু নই, এযে ভালোবাসা,ভালোবাসা একেই কয়।
শ্রাবণ – মুখ তুলে আকাশ কে বলল –
আমাদের যদি মেয়ে হয় তার নাম রাখব বৃষ্টি …..
আর যদি ছেলে হয় –
শ্রাবণ একটু ভেবে বলল ………….
…..বাদল ।।
শ্রাবণ কানে কানে আকাশকে বলল
আজ যদি মেঘ জমে, তার নাম রাখব মিতু ।।
…….আর যদি ঝড় ওঠে …..
….তার নাম রাখব হৃদয় ।।
সেবার শ্রাবণ যাবার আগে আকাশের বুকে
মুখ গুঁজে অনেক কেঁদেছিল ।।
যাবার আগে বলে গেল –
মেয়ে বড় হলে তাকে আর বৃষ্টি বলে ডেকো না ।।
ওকে ডেকো ক্যামেলিয়া ব
If Bengali Not Come – Camelia
or
Camelia
এইভাবে না দেখা বিপথের কোলাকুলিতে
আলোকবর্ষ দিয়েছে পথ
ওপাড়ের ভিনদেশীয়
স্তব্ধতার পাণ্ডিত্যে – আমার এপাড় ভেসে যায় ।
হলকা হাওয়ার আঁচড় পরম্পরায় বিঁধে পাদদেশ
লিকলিকে খনিজ উপাদানে বর্শার চোখ নিবদ্ধ হলে
শিউলির সোহাগ ভুলে পর্যাপ্ত প্রহর
গুনেছি অভিশাপ ।
তবুও এইসব অফুরান নিয়ে নিয়ত শুভেচ্ছায়
বসন্ত উসকেছি মধ্য শিখার নিশীথে
সেই যেথা কোনও এক প্রশস্তকাল
আমিই মুষল হতাম সমগ্র জ্যামিতিময় ।
আসলে আমারও ঘোড়া হওয়ার সাধ ছিল রেসের ময়দানে
ছিলনা শুধু জুয়া খেলার কঠোর অভিসন্ধি ।
[আমরা সবাই রাজা আমাদের এই রাজার রাজত্বে –
নইলে মোদের রাজার সনে মিলব কী স্বত্বে?। ]
না হয় আমি রাজাই হলাম
বিধান দিয়ে – নিদেন লিখে
আমার রানী গড়িয়ে নিলাম –
না হয় আমি রাজাই হলাম ৷৷
রানী হল – মন্ত্রী এলো হল রাজ্যপাট
রাজকোষ মোর শূন্য ভাঁড়ার
– ভাবাই হল ষাট ৷
সত্যি যদি রাজাই হবে
রাজকোষ কেন শূন্য রবে ?!
যেমন তেমন বিধান লিখে
হয় কি রাজ্যপাট ?!
এবার তবে –
চাবুক চালাও আগুন জ্বালো –
রাজকোষ মোর ভরিয়ে তোল' –
এসো সেপাই – সান্ত্রী এসো –
এসো সৈন্যদল –
দৈন্য দশা দূর কর মোর
হোক রদবদল ৷৷
রক্ত ?
তা সে পরওয়া করি না –
দমন দিয়ে – হয় যদি হোক
ভার অতিরিক্ত ।
তবু কেন এলোকেশে –
রানী আমার বিরস মুখে
ভাবনা যেন দিনে দিনে
পাংশু চোখে উঠছে জমে – ।
সেদিন যখন একলা রাতে –
ভেবে মরি খোলা ছাদে
হঠাৎ মনে পড়ল আমার
হারিয়ে যাওয়া ধুলো মাখা
আমায় দেওয়া ছোট্ট খাতা ।।
পরিপাটি যত্নে আঁকা –
অনেক কলি – হেলায় লেখা ।
আমার রানী –
তোমায় দিলাম রাজকোষ আর
অনেক বাণী ।
এবার তবে বিদায় দেহ –
রাজকোষ আর রাজ্য নিয়ে –
আমার রানী সুখে থেকো ।।
To listen please Click Me
Recent Comments