গ্যালাক্সি পারাপার রশ্মি,
হারিয়ে যায় কৃষ্ঞগুহায় ।
নিরুদ্দেশের বুকে মাথা রেখে,
মুখ নামিয়ে চিৎকারে কম্পিত
কর্ণপটহ। প্রতিধ্বনি ফিরে আসেনা।
অতল তলানিতে তলিয়ে যায়
ডুবো-জাহাজ। ক্যাপ্টেন নিমো
পাড়ি জমায়- ভেসে উঠবার প্রয়াস।
পৌছয় বুঝি আরেক জগতে।
আশা-অনাশার দ্বন্দ্বে দুলতে দুলতে
ছিঁড়ে পড়ে পঙ্কিল ফাঁদে।
কালোয় কালো বাহির- কৃষ্ঞজগত্।
অবলুপ্তির স্বচ্ছতা গিলে ফেলে বায়ুহীন বাতাস।
শব্দহীনতার ঘেরাটোপ।
লাফিয়ে লাফিয়ে চলা আর শূন্যতা।
ঘূর্ণনের কর্কশধ্বনি।
ধূলিকণার বেষ্টনীতে চাপা পড়ে যায় নীলাকাশ।
এখন অনেক একলা হাঁটা –
ইচ্ছে করে
রোদ বৃষ্টির হাত ধরে –
মেঘ যখন বৃষ্টি অনেক –
টাপুর টুপুর – একলা মনে
হাত ধরে তার – যাই হেঁটে যাই
মেঘের 'পরে দিনে দিনে।
এখন অনেক – একলা হাঁটা
ক্ষণে ক্ষণে –
আপন মনে।
বিকেল তখন – আকাশ জুড়ে –
একলা তারা অনেক দুরে –
আপন মনে – একতারা তার
মনখারাপি বাউল সুরে
তুলোর মত – পেঁজা পেঁজা –
পেলব ঘাসে হিমেল পায়ে –
দূর পেরিয়ে – অনেক দুরে –
একলা হাঁটা – একলা হাঁটা –
আকাশ জুড়ে –
এখন অনেক – একলা হাঁটা – ইচ্ছে করে।
নীলতিমি চোখ মেলে ।
সিন্দবাদের জাহাজ ।
জলফোয়ারা এঁকে দেয় স্বপ্নপাল ।
গভীর রক্তপাত বুকফাটা আকাশ ।
শিরায়-শিরায় জটপাকায় পাকদণ্ডী ।
কথার মাঝে হারিয়ে যায় কথারা ।
মনবাক ছুঁতে পারেনা কাঠিন্য ।
বরফের মাঝে মমিহৃদপিন্ড ।
ছন্দ ধুকধুকিহিম ।
গ্লাস গ্লাস চুমুক ক্লান্তিভার ।
ঈথারব্যাকুলতার পাতায় পাতায়
দুঃস্বপ্নের নাচানাচি ।
আদিম গুহার অন্ধকার দেওয়ালে
পৃথিবীর প্রথম শিল্পীর আঁচড়ে মিশে আছে বলিরেখা ।
অন্দিতে সন্ধিতে গাঁথা অভিঞ্জতা নদী
অসম্ভবের কাহীনি গর্ভে নিয়ে
বয়ে যায় অজানা গন্তব্যে ।
নদী মেশে নদীতে| শেষ নেই কোনো ।
মাঝে মধ্যে চলকে ওঠে অভিঞ্জতা ।
ভিজিয়ে দেয় পাড়ের কালো বালি ।
জটিল-কাদা-কাদা-সোঁদাগন্ধ ভরা ।
পাতাঝাঁঝি, প্ল্যাঙ্কটন আর সবুজ
সৃষ্টি করে থমথমে রহস্য ।
পিচ্ছিলতার কারণে রহস্য-সংক্রমণ হয় ।
জরা আর বলিরেখার এখানেই মিল ।
দুজনে জবুথুবু বসে দূরে চেয়ে থাকে নিষ্পলক ।
একটা ছবি ক্যানভাসে ফুটে ওঠে ।
সূর্যাস্তের সূর্য ডোবা
অথবা- শেষ সূর্যরশ্মি ।
Recent Comments