শ্যামল সবুজে ঐযে রক্তে মাখা রবি
এযে বাংলার পতাকা আকাশের বুকে;
জ্ঞাত বিশ্ববাসী, জানি তা আমরা সবি
লক্ষ লাশেরও গন্ধ আজো পাই নাকে।
কত গর্বিত জনতা, স্বাধীনতা পেয়ে
বিজয় উল্লাসে ফেটে পড়ে সারা দেশ;
এদিনে হাসির রেখা, বীরাঙ্গনা মায়ে
এখনও তবু যেন আতঙ্কের রেশ।
শহীদ সে পরিবার আজো আকিঞ্চনে
তাদের অস্তিত্ব ভারী, মুক্তির বিরোধী;
পুষ্টিতেও ভরপুর, চোরা মাল ধনে
সর্বস্বান্ত তারা, যারা তবে প্রতিবাদী।
দেখতে দেখতে, গত হলও চার যুগ
জনতা করবে কবে, স্বাধীনতা ভোগ ?
বিঃদ্রঃ –
চতুর্দশপদী
(বিজয় মাসের কবিতা)
আমার ঘরে কোথাও কোনও ঘড়ি নেই
পাশের ঘরে যেটা আছে –
তাও বন্ধ হয়েছে অনেক আগেই –
সময়ের হাত ধরে হাঁটতে ভুলে গেছি তাই।
এই সময়-হীন সময় – অনেকটা
মহাশূন্যের মতো – ।।
কোনও – টান নেই – কোথাও।
কিন্তু তবু তো তার অস্তিত্ব বুঝি সর্বত্র –
সময় নেই – তবু – হিসাব আছে –
দিবা রাত্র –
বসন্ত – চলে যাওয়া – ফিরে যাওয়া আছে –
আছে কিছু স্মৃতি –
গভীর থেকে গভীরতর –
ভেসে ভেসে চলে যাওয়া
অনেক অনেক পেছানো
সময় নেই – তবু স্মৃতি আছে গোছানো।।
সময় নেই – তাই – সময়ে তোমাকে পাই না
সময় নেই – তাই – সময়ে তোমাকে চাই না –
সময় নেই – শুধু পর পর কিছু
ইতিহাস আছে সাজানো।
ফিরে যাও – ফিরে যাও –
হে আলোকবর্ষব্যপী – জ্যোতিষ্কমণ্ডল –
হে সপ্তর্ষিমণ্ডল –
হে বশিষ্ঠ – হে অরুন্ধতী – হে কালকূট
ফিরে যাও হে ঊর্ষা।
ক্লান্ত নদীতে অনেক জল বয়ে গেছে –
প্লাবন এসেছে – উজানে –
ইতিহাস খুঁড়ে খুঁড়ে –
অনেক কঙ্কাল সব ভাসিয়ে দিয়েছি –
দীর্ঘ পথ ঘুরে
চলে গেছে – চোখের আড়ালে –
সময় নেই – তাই হিসেব নেই –
কত গেল – আরও কত আছে
তাড়া নেই – গোনবার –
সময় নেই – ।।
গ্যালাক্সি পারাপার রশ্মি,
হারিয়ে যায় কৃষ্ঞগুহায় ।
নিরুদ্দেশের বুকে মাথা রেখে,
মুখ নামিয়ে চিৎকারে কম্পিত
কর্ণপটহ। প্রতিধ্বনি ফিরে আসেনা।
অতল তলানিতে তলিয়ে যায়
ডুবো-জাহাজ। ক্যাপ্টেন নিমো
পাড়ি জমায়- ভেসে উঠবার প্রয়াস।
পৌছয় বুঝি আরেক জগতে।
আশা-অনাশার দ্বন্দ্বে দুলতে দুলতে
ছিঁড়ে পড়ে পঙ্কিল ফাঁদে।
কালোয় কালো বাহির- কৃষ্ঞজগত্।
অবলুপ্তির স্বচ্ছতা গিলে ফেলে বায়ুহীন বাতাস।
শব্দহীনতার ঘেরাটোপ।
লাফিয়ে লাফিয়ে চলা আর শূন্যতা।
ঘূর্ণনের কর্কশধ্বনি।
ধূলিকণার বেষ্টনীতে চাপা পড়ে যায় নীলাকাশ।
এখন অনেক একলা হাঁটা –
ইচ্ছে করে
রোদ বৃষ্টির হাত ধরে –
মেঘ যখন বৃষ্টি অনেক –
টাপুর টুপুর – একলা মনে
হাত ধরে তার – যাই হেঁটে যাই
মেঘের 'পরে দিনে দিনে।
এখন অনেক – একলা হাঁটা
ক্ষণে ক্ষণে –
আপন মনে।
বিকেল তখন – আকাশ জুড়ে –
একলা তারা অনেক দুরে –
আপন মনে – একতারা তার
মনখারাপি বাউল সুরে
তুলোর মত – পেঁজা পেঁজা –
পেলব ঘাসে হিমেল পায়ে –
দূর পেরিয়ে – অনেক দুরে –
একলা হাঁটা – একলা হাঁটা –
আকাশ জুড়ে –
এখন অনেক – একলা হাঁটা – ইচ্ছে করে।
নীলতিমি চোখ মেলে ।
সিন্দবাদের জাহাজ ।
জলফোয়ারা এঁকে দেয় স্বপ্নপাল ।
গভীর রক্তপাত বুকফাটা আকাশ ।
শিরায়-শিরায় জটপাকায় পাকদণ্ডী ।
কথার মাঝে হারিয়ে যায় কথারা ।
মনবাক ছুঁতে পারেনা কাঠিন্য ।
বরফের মাঝে মমিহৃদপিন্ড ।
ছন্দ ধুকধুকিহিম ।
গ্লাস গ্লাস চুমুক ক্লান্তিভার ।
ঈথারব্যাকুলতার পাতায় পাতায়
দুঃস্বপ্নের নাচানাচি ।
Recent Comments