ক্ষুধিত ইচ্ছেময় পুরুষ-গন্ধি রাতের বুক পকেটের
অনৈতিক ভাজে রাখা কাম-ভেজা কোন শরীরময়
বোধের সাথে আমার আর হয়না নির্ঘুম সহবাস …
স্পর্ধিত বিশ্বাসের উর্বশী পাখায় লোলুপ আগুন
জ্বেলে পুড়িয়ে ফেলেছি আমার সব সুখস্বপ্ন …
একটি ছিল কবিতা, একটি সাগর, অন্যটি তুমি,
এখন আমার আর লাল বেগুনী কোন চাওয়া নেই,
আমার আর নেই জ্যোৎস্না প্লাবিত মধ্যবিত্ত অসুখ ।
জীবনের কিছু আঁধার-ঘেরা রহস্য জানতে হয়না,
তবুও স্খলিত সময়ে অনন্ত আঁধারের মাঝে বিস্মৃত
আত্মপরিচয় খুঁজে নিতে নিতে আমি জেনে
যাই জীবনের কিছু অপ্রয়োজনীয় নির্মম সত্য,
জীবনের কিছু অনাবশ্যক বিভীষিকাময় রহস্য,
আজন্ম লালিত বিশ্বাসের শেষকৃত্য শেষে
এখন আমার হৃদয়ে কেবলই অনল দহন,
এখন আমার দুচোখে শুধুই অনিবার্য ধ্বংস,
এখন আমি শুধু বিনাশ চাই মিথ্যে প্রহেলিকার,
সানুনয় নিবেদন শুধু একটি মহা প্রলয় ও একটি নতুন শুভ সূচনার।
আতস কাচের চোখ থেকে আকাশের নীল
ঢেকে দেওয়া বৃষ্টির ঝুম পর্দা সরিয়ে যখন
তুমি নারীসুলভ পেলব ছলনা মেখে পুরনো
অতীতকে ফিরে পাবার অনাবৃত বাসনায়
বহুদিন পর আবার তাকালে আমার পরিত্যক্ত
পৃথিবীর মত বদলে যাওয়া পুরুষ চোখে তখন
আর আগের মত দক্ষিণ মেরুর সব সাদা বরফ
গলে মহাপ্লাবন এলো না নুহের পৃথিবীতে ।
কেবল একাকী রাত কান্নার মত হেসে লুটিয়ে
পড়ল শরীরসর্বস্ব নারীর ক্লান্তিকর অস্তিত্বে উষ্ণতা
খোঁজা বোকা মানুষটির সুখ ভাবনার উদারতায়,
তবু তুমি স্বার্থের হিসেবী শকুন চোখের মোহ হটালে
না আমার তোমার জন্য মৃত পাথর চোখ থেকে,
সব ভুলিয়ে দেয়া মায়াবী কন্ঠে পুরনো সেই মধু
ঢেলে আগের মত জানতে চাইলে “কেমন আছো ?”
তখন ভালো থাকা না থাকার মাঝের কুমারী
পর্দাটা ছিনাল নারীর মত বেফাঁস দুলে উঠে
বলল, প্রিয়তম, আবার দেখা হবে সহরমনে,
ডানা ঝাপটানো মৃত্যুর মত বেশরম কষ্টগুলোকে
ডালপালা সহ ভেসে যাওয়া শারীরিক রাতের
নিজস্ব গল্প শোনাতে শোনাতে ফিরে পাওয়া
গাঙ হরিণের ক্ষুধিত জীবন থেকে আমি ফিরিয়ে
দিলাম স্মৃতির দংশন জর্জরিত কিছু অলীক সুখ ।
Recent Comments