শব্দের পরে শব্দরা সব –
শব্দ করে মরে,
বাকি আরও শব্দ শুধু
বেকার গোল করে।
বীরপুরুষের শব্দ যত
কোমর বেঁধে আসে,
আমার তোমার শব্দ শুধু
আলো ছায়ায় ভাসে?
আমার সকল শব্দ ওগো,
এবার তবে জাগো।
জাগার সময় শব্দ-গ্রহণ ?!
‘ভয়’ – ক’রো নাগো।।
ভূষণ্ডির মাঠেই যদি
যুদ্ধ শুরু হয় –
একলা কেন ভেবে মরি –
শব্দ যেন হয়?
শব্দ হেথা – শব্দ ‘হোতা’ –
শব্দ যেন হয় –
শব্দ আগে – শব্দ পিছে
শব্দ-গ্রহণ নয়।।
কিছু চিঠিদের রংমশালের
বারুদের আবরণ!
কিছুরা আবার আবেগের ঘরে
ইতিউতি বসবাস!!
বছরের পরে সময়ের ধুলোবালি;
চিনে নেওয়া অভ্যাসেদের নিয়মিত হেঁটে চলা!
বালুচর ছুঁয়ে ঢেউদের আলেয়া;
ক্যানভাসে থাক ভেজা ভেজা রং তুলি!
ছন্দ ভুলে হঠাৎ করেই
উড়ানের হাতছানি!
স্বপ্ন পেরোয় রোজনামচার
জীবনের কথালিপি!!
কিছু কথা – কখনও বলা হয় নি – ।
জানালার ধারে – মাথা এলিয়ে –
বৃষ্টি যখন আদর করে ঘুম পাড়িয়ে দিতো –
পরতে পরতে ভিজে হাওয়ার নরম ছোঁয়া –
বড় ভালোবাসতাম।
গোধূলি হাওয়ায় – রং তুলি সাজানো ক্যানভাস –
তোমার শূন্য দৃষ্টির মতো – সাজানো শস্য ,
অথবা উষ্ণ নিঃশ্বাসের ঘ্রান
আমায় মাতাল করে দিতো –
বড় ভালোবাসতাম।
কখনও বলা হয় নি –
এখনও বলা হয় নি – কিছু কথা
ভালোবাসতাম – বলা হয় নি – ।
“রথযাত্রা, লোকারণ্য, মহা ধুমধাম,
ভক্তেরা লুটায়ে পথে করিছে প্রণাম।
পথ ভাবে ‘আমি দেব’, রথ ভাবে ‘আমি’,
মূর্তি ভাবে ‘আমি দেব’—হাসে অন্তর্যামী।”
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(প্রণাম তোমায় রবি ঠাকুর )।
যাত্রা কি চলে গেছে ?
অতীত ?
না কি সে এখনও হয় ?
সেই নাটমন্দির ঘিরে –
জামদানি ঝিলমিল অন্দরমহল –
চিকন সিল্ক – জমিদারি আভিজাত্য –
অথবা ক্লিষ্ট শীর্ণ চোখে,
একদিনের বিনোদন –
উপচে এসে রাস্তায়।
রাস্তার উদ্দেশ্য কি ?-
উদ্ধত মন বলে পৈতৃক।
হোক – তবে যাত্রা দর্শন –
— “যাত্রায় যাত্রা”।
লাবণ্যবতী নদীটির ভাষা বুঝতে বুঝতে
চোখ মুছি –
কৃষ্ণকলি বয়ে যায় – কবিতায় – !
সবুজ প্রেমের বাস্প –
বৃষ্টির মতো – তোমার গায়ের রং –
স্বপ্নের মতো – নীল –
পেলব পাখনা।
অরন্ধন শেষ হলে পর – ঠান্ডা কিছু মহুল গন্ধের মতো –
সুর আসে -।
উজান শেষে – কাছিতে পড়ে সে টান –
কর্কশ শব্দে – ভাটির আর্তনাদ।
শেষ কিছু স্ফুলিঙ্গ আর্তনাদ করে ওঠে
এবার ফিরতে হবে – বোঝে মন –
সূর্য গোটায় রং।
গল্প লেখা বিকেলগুলো সব –
নেমে যায় – সন্ধ্যায় – কবিতায় !
Recent Comments