সেদিন বৃষ্টি হবার কথা ছিলো- শুকনো রাতের মধ্যগভীরে,
ময়ূরপঙ্খী মেঘের ডানায়- আসবে বর্ষা রানী চড়ে ।
হাসনাহেনার সৌরভ মেখে একলা বসে ছিলাম আমি,
তোমার পায়ে নূপুর নৃত্য “যোধা বাঈ”-থেকে দামি !
অপলক অপেক্ষায় ছিলো নেত্রযুগল- ক্লান্তি উপেক্ষা করে,
সেদিন বৃষ্টি হবার কথা ছিলো- শুকনো রাতের মধ্যগভীরে ।।
পাগলা হাওয়ায় ছিলো সেদিন শীতল শীতল ঘ্রাণ,
পাথুরে ও মনে ফুল ফুটে যায় পেলে প্রেমের প্রাণ !
রিক্ত মরু সিক্ত হলে সবুজ ঘালিচায় জলসা ঘর সাজে,
মিলনের সুরে পুরুষ মনে- নিরলস মোহন বাঁশি বাজে ।
“কেন” বুঝলো না বর্ষা রানী, আসলো না আমার ঘরে,
সেদিন বৃষ্টি হবার কথা ছিলো- শুকনো রাতের মধ্যগভীরে ।।
হলো না…. বৃষ্টি সেদিন । কথা বদলে গেলো ।
জীবনটা যাযাবর হলো । হলো এলোমেলো ।
ভাঙন খেলায়- বুকের নদী; প্রেমের সব জমিই নিলো কেড়ে !
সেদিন বৃষ্টি হবার কথা ছিলো- শুকনো রাতের মধ্যগভীরে ।।
শব্দের পরে শব্দরা সব –
শব্দ করে মরে,
বাকি আরও শব্দ শুধু
বেকার গোল করে।
বীরপুরুষের শব্দ যত
কোমর বেঁধে আসে,
আমার তোমার শব্দ শুধু
আলো ছায়ায় ভাসে?
আমার সকল শব্দ ওগো,
এবার তবে জাগো।
জাগার সময় শব্দ-গ্রহণ ?!
‘ভয়’ – ক’রো নাগো।।
ভূষণ্ডির মাঠেই যদি
যুদ্ধ শুরু হয় –
একলা কেন ভেবে মরি –
শব্দ যেন হয়?
শব্দ হেথা – শব্দ ‘হোতা’ –
শব্দ যেন হয় –
শব্দ আগে – শব্দ পিছে
শব্দ-গ্রহণ নয়।।
কিছু চিঠিদের রংমশালের
বারুদের আবরণ!
কিছুরা আবার আবেগের ঘরে
ইতিউতি বসবাস!!
বছরের পরে সময়ের ধুলোবালি;
চিনে নেওয়া অভ্যাসেদের নিয়মিত হেঁটে চলা!
বালুচর ছুঁয়ে ঢেউদের আলেয়া;
ক্যানভাসে থাক ভেজা ভেজা রং তুলি!
ছন্দ ভুলে হঠাৎ করেই
উড়ানের হাতছানি!
স্বপ্ন পেরোয় রোজনামচার
জীবনের কথালিপি!!
তর্কটা ভালো – এবং চলতে থাকুক।।
একলা – বড্ড ভয় লাগে – নিঃসঙ্গ লাগে –
বরং – তর্কটা ভালো – চলতে থাকুক।
একটা তবু সঙ্গী হবে –
বেশ একটু – ওম ঢেলে দেবে মোড়কে মোড়কে -।।
অচল তো ছোট থেকে বড়,
কয়েন থেকে টাকা ।
অচল তো বৃদ্ধরা – কবেই –
অচল তো প্রাচীনপন্থী আমরা সবাই ।
এই যে এতো বড় বাজার –
সবই কি বিক্রি হয় ?
কিছুই কি পড়ে থাকে না? অবশিষ্ট ? উদ্বৃত্ত?
এখন তো রেস্টুরেন্টে মাংসও অচল –
তার চেয়ে বরং –
তর্কটা চলতে থাক ।
বেশ একটু নাটুকে তাপ
– আরও উত্তপ্ত করে তোলো –
গ্লোবাল ওয়ার্মিং।
সমীহ করার মতো বারিটোন ভয়েস –
বেশ – তর্কটা চলতে থাকুক।
এটাকেও জিডিপি তে নেবে !?
না – না –
তর্কটা ভালো ।। এবং চলতে থাকুক।।
“রথযাত্রা, লোকারণ্য, মহা ধুমধাম,
ভক্তেরা লুটায়ে পথে করিছে প্রণাম।
পথ ভাবে ‘আমি দেব’, রথ ভাবে ‘আমি’,
মূর্তি ভাবে ‘আমি দেব’—হাসে অন্তর্যামী।”
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(প্রণাম তোমায় রবি ঠাকুর )।
যাত্রা কি চলে গেছে ?
অতীত ?
না কি সে এখনও হয় ?
সেই নাটমন্দির ঘিরে –
জামদানি ঝিলমিল অন্দরমহল –
চিকন সিল্ক – জমিদারি আভিজাত্য –
অথবা ক্লিষ্ট শীর্ণ চোখে,
একদিনের বিনোদন –
উপচে এসে রাস্তায়।
রাস্তার উদ্দেশ্য কি ?-
উদ্ধত মন বলে পৈতৃক।
হোক – তবে যাত্রা দর্শন –
— “যাত্রায় যাত্রা”।
Recent Comments