আমারে রেখেছি গোপন
দেখা হীন অদেখায়, কথাহীন না বলায় ।
আমি রয়েছি তোমার কাছাকাছি
তবুও যে আমি অনেক দূর দুরান্তে ।
পথহীন পথের দিশায় ,
ঠিকানাহীন আপনের সন্ধানে ।
এই ছুটে চলা যেন আমার প্রতিদিনের,
আমারে আমি করেছি অচেনা, আমার হতে ।
সন্ধ্যার আকাশে মেঘ হয়ে ভাসতে ভাসতে
আমি চলে যাব অনেক দূরে ।
মধ্য রাতের কোন এক সময়ে বর্ষা হয়ে পড়ব’
আমার সকল চেনা অচেনা সিমান্তে ।
যে টুকু অবশিষ্ট থাকবো
শেষ রাতে শিশির হয়ে অঝরে ঝরবো
তোমার আঙিনায় সবটুকু জুড়ে ।
আমি আরও – অনেক গভীর ঘুম চাই –
যে ঘুম তোমার তরল বাসনার থেকেও মদির –
তোমার অসূর্যস্পর্শা অধরের থেকেও গাঢ।
তোমার ললাটের থেকেও দীঘল –
তোমার বায়বীয় আত্মার থেকেও নশ্বর –
ঘুম চাই ।
তোমার নাটকীয় চাহনির থেকেও পরকীয়া –
এমন এক ঘুম চাই ।
বুকে যখন আমার সোনালী মেঘের আনাগোনা
ঠোঁটে যদি হয় কুয়াশা ঘন জাল বোনা –
আঙুলে শত বর্ষের নীল ছোপ বুনোট
চোখে চোখ – মৃদু সায় – ইশারায় –
ছেড়ে যায় স্মৃতিটুক – নীলাভ গুমোট –
হোগলার বন চিরে – সবুজ হলুদ – দিন –
পাতার ভিতর – তরল সোনার মতো
ভাসিয়ে দিও – নিকোটিন।
Note: We doesn’t encourage smoking or take any formation of “Tar”/“Nicotine”. Smoking causes cancer. Anyway the inner meaning of this poetry is different, where there is no direct relation with any type of smoking.
এপথ ধরে খানিক গেলে; সমুদ্রস্নান
সেখান থেকে মাইলখানেক; হন্ডাসিটি
ম্যাপ ধরে আর কয়েকশো পা; পাঁচতারা-সুখ
তাও ছাড়িয়ে অল্প দূরে; বিদেশবিভুঁই
কিছু হাতের ফারাক আরও; পেট্রোডলার
তার পরে স্রেফ দু-এক কি.মি.; আকাশকোঠা
আর তো কেবল কয়েকটা ধাপ; গ্লোবাল ভিলেজ
সব পেরোলাম: আর কতদূর ..
তোর বাড়িটা??
সময়ে কেমন পুরোনো হয়েছে কথা —
ধুলো জমা পরে , ক্রমে ক্ষয়ে গেছে মুখ !
তবু পেরিয়ে এসেও শত-শত সভ্যতা ..
শিকড়ের কাছে হেরে যেতে কত সুখ !
সেখানে স্রোতেরা থমকে গিয়েছে কবে..!
নতুন আবির মেখে উড়ে গেছে হাওয়া ..
তবু আলগোছে জমা.. বাতিলের উৎসবে ;
একা মন , তার নিয়মিত আসা যাওয়া !
কী আছে সেখানে ..মোহর না পোড়ামাটি ?
শেষ রোদ্দূরে জ্বলা বিকেলের ছাই —
পথের গভীরে দেখো বেশ পরিপাটি
তুমি , আমি , আজও হাতে হাত…হেঁটে যাই !!
Recent Comments