আজ প্রদীপের বড্ড মন ভার
এলোমেলো চাউনি – থরথর করে কাঁপছে।
চোখের তলায় কালি জমেছে
গাল ফুলিয়ে – চোখ রাঙিয়ে – বসে আছে সে।
রোজ সন্ধ্যায় – খুকি যে গল্পটা পড়ে –
আজ ছিল তার শেষ অধ্যায়।
গল্প – তা – সে
মোটামুটি – একই রকম –
কিন্তু – এই সন্ধ্যা থেকে রাত হওয়ার বয়ঃসন্ধি কালে –
সেই গল্প – মনে হতো – ঠাকুমার কোলে কোনো আরব্য রজনী।
দু হাতে যতটা সম্ভব অন্ধকার ঠেলে রেখে –
মন দিয়ে শুনতো সেই গল্প- প্রদীপ।
তারপর –
বয়ঃসন্ধি – পেরিয়ে –
রাত গভীর হলে – নিভে যেত সব –
শুধু তেল পোড়া – মিষ্টি ধোঁয়ার গন্ধে ডানা মেলে উড়ে যেত সে –
সেই – অচিনপুরে – সেই রাজকুমারী –
সেই ঘুমপাড়ানি সোনার কাঠি – রুপোর কাঠি –
ঘোড়ায় চড়া রাজকুমার –
তারপর –
– ঘুম নেমে আসত – পৃথিবী জুড়ে -।
আজ সেই গল্প শেষ হয়েছে –
আজই ছিল শেষ অধ্যায় -।
হায় রে শিশু – হায় রে কিশোর
কোথায় জ্বলে – তোর ঘরদোর ।
কোথায় পড়ে আম্মি তোদের
কোন নদীতে হয় গো কবর
কোন বেয়নেট – ছিন্ন করি
আব্বু তোদের – বেহেস্ত পাড়ি ।
কণ্ঠ তোদের – রুদ্ধ করি
পালিয়ে যা তুই সে দেশ ছাড়ি।
তবুও যদি তর্ক করিস
আগুন তবে – পুড়িয়ে মারিস –
যুগ যুগান্তে – একটাই দল
যেভাবেই হোক – ক্ষমতা দখল –
এই ধর্ম – এ দেশ আমার
এই পৃথিবী আবার আমার -।
এই ধর্ম – এ দেশ আমার
এই পৃথিবী আবার আমার –
এতটা আকাশ – এতটা বাতাস –
এই জমিটা – ঐটুকু শ্বাস –
সব টুকু চাই – সব টুকু চাই –
নইলে এবার – শব টুকু চাই –
আমার কালি – নিয়ম আমার
আমার চাবুক – বলবে এবার –
তোর দুনিয়া? – ছিলই কবে !
টুকরো রুটি – এতেই হবে –
(তোদের) অতীত যতই – হোক পুরানো
নয় আমাদের – নয় ওদেরও –
গুনতিতে যে – অনেক বড় –
এই নিয়মেই – আমরা দড় – ।
এই নিয়মেই – চলতে হবে
এই নিয়মেই – মরতে হবে।
(এই) নিয়ম মেনেই – মৃত্যু মিছিল
যুগ যুগান্তে – হয় না শিথিল -।
(Please Note: We are not intended to heart any religious or any community. They might come significantly into purview. If so, we are extremely sorry for that.)
আমিও তবে ক্লান্ত বুড়িটির মতো
দেহভারে ন্যুব্জ – বৃদ্ধা – অবসন্ন -।
ব্যাপ্তি আমার ধূসর পান্ডূর –
পথভারে রক্তিম -।
বাঁধটুকুর চিহ্নমাত্র নেই কোথাও।
শ্রাবনে বুকে আমার
শৈশব, কৈশোর – খেলা করে – ছবির মতন।
গ্রীষ্মে উত্তপ্ত নিঃশ্বাস – হাহাকার – বুক জুড়ে –
দেহাতি মিঠে রোদে মনে পড়ে – শীত এসে গেছে।
পরিচিত পরিযায়ী পাখিদের একটানা স্তব –
শীর্ণ শরীরে আমার –
অবিরাম অবিশ্রান্ত – ক্লান্তিহীন – সময়।
একদিন আমাকেও চলে যেতে হবে –
ইতিহাস মেনে নেবে সব –
আরো কত পথ – কত সময় -।
তবু বুকে যদি হঠাৎ কোনো প্লাবন আসে –
তিস্তা – তোর্সা – অথবা জলঢাকা নদীটির থেকে –
ফিরে আসা – হঠাৎ কোনো প্লাবন বলে –
চলো চলে যাই – আবার দুহাতে দুহাত ধরে –
দেশ – গ্রাম – জনপদ ছেড়ে – অমৃতের সন্ধানে -।।
আমি আরও – অনেক গভীর ঘুম চাই –
যে ঘুম তোমার তরল বাসনার থেকেও মদির –
তোমার অসূর্যস্পর্শা অধরের থেকেও গাঢ।
তোমার ললাটের থেকেও দীঘল –
তোমার বায়বীয় আত্মার থেকেও নশ্বর –
ঘুম চাই ।
তোমার নাটকীয় চাহনির থেকেও পরকীয়া –
এমন এক ঘুম চাই ।
বুকে যখন আমার সোনালী মেঘের আনাগোনা
ঠোঁটে যদি হয় কুয়াশা ঘন জাল বোনা –
আঙুলে শত বর্ষের নীল ছোপ বুনোট
চোখে চোখ – মৃদু সায় – ইশারায় –
ছেড়ে যায় স্মৃতিটুক – নীলাভ গুমোট –
হোগলার বন চিরে – সবুজ হলুদ – দিন –
পাতার ভিতর – তরল সোনার মতো
ভাসিয়ে দিও – নিকোটিন।
Note: We doesn’t encourage smoking or take any formation of “Tar”/“Nicotine”. Smoking causes cancer. Anyway the inner meaning of this poetry is different, where there is no direct relation with any type of smoking.
Recent Comments